কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা
কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা
সূচনা :
অল্পবিস্তর কম্পিউটার বিষয়টির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু তোমরা জান কি কিভাবে এই কম্পিউটার প্রথম তৈরী হয়।
(আজকের আধুনিক কম্পিউটারে যে সমস্ত অংশগুলি ব্যবহার হয় তার প্রায় সবগুলিই আবিষ্কার করেন ১৮৩৩ সালে বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। তাকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় । কিন্তু প্রকৃত অর্থে আধুনিক কম্পিউটার তৈরী হয় এর প্রায় ১২০ বছর পরে ১৯৩৬ সালে। বিজ্ঞানী কনরাড ফ্রিউস (Konrad Zuse) তৈরী করেন প্রথম কম্পিউটার আর তার নাম রাখেন Z1 । কম্পিউটার একটি বৈদ্যুতিন যন্ত্র (Electronic Device)। ইংরাজী (Compute শব্দটি থেকে কম্পিউটার শব্দটি এসেছে এই Compute শব্দটির অর্থ হল গণনা । কিন্তু বর্তমান যুগে কম্পিউটার শুধুমাত্র গননার কাজে সীমাবদ্ধ নেই শিক্ষা ব্যবসা, যোগাযোগ, বিনোদন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য :
(২) নির্ভুল তথ্য প্রদান: কম্পিউটারের গননা সচরাচর নিষ্ঠুর হয়ে। থাকে, কিন্তু মানুষের গননায় ভুল থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
(৩) পরিশ্রমী: ঘণ্টার পর ঘন্টা গননা সংক্রান্ত কার্যাবলী আমাদের ক্লান্ত। করে ফেললে আধুনিক কম্পিউটার দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক গননা করে যেতে পারে।
(৪) পারদর্শীতা: একটি কম্পিউটার একাধিক কাজে সমান ভাবে পারদর্শী হতে পারে।
কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ:
কার্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায় :
মিনি কম্পিউটার (Mini Computer):
মিনি কম্পিউটার মেনফ্রেম কম্পিউটারের থেকে ছোটো এবং কম ব্যয়বহুল। এগুলিকে অনায়াসে স্থানান্তরে নিয়ে যাওয়া যায়। মিনি কম্পিউটারে ব্যবসায়িক ও কারিগরি বিদ্যা সংক্রান্ত কাজ অন্যান্য শক্তিশালী কম্পিউটারের চেয়ে সহজভাবে করা
মাইক্রোকম্পিউটার (Micro Computer):
মাইক্রো কম্পিউটার গুলি সবচেয়ে ছোটো এবং সবচেয়ে কমদামী কম্পিউটার। এই কম্পিউটার কম শক্তি সম্পন্ন এবং এর মেমরী কম। একে পার্সোনাল কম্পিউটারও বলা । এগুলি বর্তমানে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়। এটি দুই প্রকার হয়। পার্সোনাল কম্পিউটার ও ওয়ার্ক স্টেশন। এ সাধারন অফিস, স্কুল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয় ।
কম্পিউটারকে কার্যের উদ্দেশ্য ভিত্তিতে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায় ।
জেনারেল পারপাস এর ভিত্তিতে কম্পিউটারকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায় :
পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer).: সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় কম্পিউটার হল পার্সোনাল কম্পিউটার। যাকে ডেস্কটপ কম্পিউটারও বলা হয়। এগুলি সাধারন অফিস, স্কুল, গবেষনার কাজে, গান শোনা, সিনেমা দেখা, ইন্টারনেট করতে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।
ল্যাপটপ কম্পিউটার (Laptop Computer):
ল্যাপটপ কম্পিউটার আন্যান্য কম্পিউটারের থেকে আকারে অনেক ছোট হয়। এই যত্র গুলি ব্যাটারি চালিত হওয়ায় যে কোন স্থানে, যে কোন সময়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আকারে ছোট হলেও ল্যাপটপ যে কোন ডেস্কটপ কম্পিউটারের সমান শক্তিশালী এবং এতে সমস্ত রকমের কাজ করা যায়। আকারে ছোট হওয়ার জন্য এতে বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়।যখন বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে আমরা কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি তখন তাকে স্পেশালপারপাস কম্পিউটার রূপে আমরা চিহ্নিত করে থাকি।যেমন - মোবাইল ফোন, পাম টপ, এটিএম মেশিন, ট্র্যাফিক সিগন্যাল প্রভৃতি।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন